রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯ খাল সংস্কারের মহাপরিকল্পনা:উপদেষ্টা রিজওয়ানা নারায়ণগঞ্জে এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণে নিহত ২ শ্রমিক পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর ড. মঈন খানের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদল নারায়ণগঞ্জ দুর্নীতিবাজ রেজাউল ও তার স্ত্রীর বিপুল সম্পদ ক্রোক জাতীয় পতাকা নিয়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে দুই হাফেজ এখন গাইবান্ধায় নেত্রকোণা শহরে বসবাসরত কলমাকান্দা পরিবারের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু ২ মার্চ, বেড়েছে সব বিভাগের ফি ওবায়দুর রহমান শিল্প মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নবাবগঞ্জে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ দুর্নীতিবাজ রেজাউল ও তার স্ত্রীর বিপুল সম্পদ ক্রোক

বিশেষ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দুর্নীতিবাজ প্রধান সহকারী রেজাউল করিম (সাময়িক বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ দম্পতির সম্পদ রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর জেলায়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এসব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন নারায়ণগঞ্জর সিনিয়র স্পেশাল জজ আবু শামীম আজাদ। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, রেজাউল করিমের নারায়ণগঞ্জ জেলার জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকায় পৃথক দুই দাগে ৯ শতাংশ জমি, ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমিতে একটি পাঁচ তলা ভবন, রাজধানীর কদমতলীর মাতুয়াইলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি। মাতুয়াইলে পৃথক আরেক দাগে ১২৫ অযুতাংশ জমিতে একটি পুরাতন ভবন রয়েছে। এ ভবনটি তার ছেলের নামে হেবা হিসেবে দান করা আছে।

এছাড়া, খিলগাও মেরাদিয়া এলাকায় ৮২ দশমিক ৮০ অযুতাংশ ভিটা জমি, সাভারের বিরুলিয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আকাশের নামে ৫ শতাংশ জমি, চাঁদপুর দক্ষিণ মতলবের নারায়ণপুরে ৬ শতাংশ জমি, মতলব উত্তরে ৫২ শতাংশ জমি রয়েছে।

অন্যদিকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নামে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমিতে একটি পাঁচ তলা ভবন এবং পৃথক দাগে ৪ শতাংশ জমি, চাঁদপুর দক্ষিণ মতলবের নারায়ণপুরে ৬ শতাংশ জমি, দক্ষিণ মতলব পৌরসভা এলাকায় ১৫ শতাংশ জমি, রাজধানী ঢাকা উত্তরার রানাভোলা এলাকায় লিজিং ক্রিস্টাল নামক একটি ১৪তলা ভবনে ১৬৪০ বর্গফুটের একটি ফ্লাট, গাজীপুরের ইহাটা এলাকায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে।

২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান সহকরী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায় দুদক। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত নেয়ার পাশাপাশি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়। এ সময় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদে উচ্চমান সহকারী পদে যোগদান করেন রেজাউল করিম। যোগদানের ২৪ দিনের মাথায় বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে যোগদান করেন এবং দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, চাকরি নেয়ার প্রায় ১৭ বছর পর সার্টিফিকেট জমা না দিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদে চাকরি নিয়েছিলেন রেজাউল করিম। এরপর প্রতারণা করে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদে উচ্চমান সহকারী পদে চাকরি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর উপসহকারী পরিচালক মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। দুদকের ওই মামলায় বেশ কিছুদিন জেলহাজতেও ছিলেন রেজাউল করিম।

যদিও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন,এই ব্যাপারে সাংবাদিকেরা অনেক লেখালেখি করছ করলে আমার কি হবে কিছু হবে না এ ধরনের হুমকি দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ প্রধান সহকারী রেজাউল করিম

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com