শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতা: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ভেরুখলা গ্রামে প্রায় পাঁচ শত বছরের পুরাতন পঞ্চায়েতি কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কবরস্থানে প্রবেশের জন্য ভরাং নদীর কূল ঘেঁষে সরকারি ভূমিতে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার নিয়ে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে একই গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মতিন মিয়া গংদের দ্বন্দ্ব চলছে। রাস্তাটি নির্মান করতে উভয় পক্ষের সম্মতি রয়েছে। তবে এ নিয়ে কেন? আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চায়েত কমিটি কবরস্থানের প্রবেশপথে একটি গেট নির্মাণ করে সেখানে নামফলক স্থাপন করেছে। তবে পাশের ভূমির মালিকের ভাই প্রবাসী মতিন মিয়া গংদের দাবি, এটি পঞ্চায়েতি কবরস্থান নয় এবং রাস্তা তাদের মালিকানাধীন ভূমির ওপর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এই দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব দাস পুরকায়স্থ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত প্রতিবেদন ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে, যার স্মারক নং: ৩১.৪৬.৯১৬০.০০৮.০৪.০০১.২১-৫০১।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মোতোয়ালি রফু মিয়া বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানে যাতায়াতের একমাত্র পথ। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক, যাতে মুসল্লিরা ও মৃতদের স্বজনরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন।”
পঞ্চায়েত কমিটির ক্যাশিয়ার আবুল কালাম বলেন, “ভরাং নদীর কূলে আমাদের পঞ্চায়েতি কবরস্থান অবস্থিত, এবং রাস্তা সংস্কার করা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব।”
অন্যদিকে, প্রবাসী মতিন মিয়া বলেন, ” কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে আমার কোন সমস্যা নাই। এটি কোনো পঞ্চায়েতি কবরস্থান নয়, এবং রাস্তার জায়গাটি আমাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ভূমি।”
এ বিষয়ে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া জানান, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, কবরস্থানের যাতায়াত ব্যবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ উঠেছে মতিন মিয়া গংদের বিরুদ্ধে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সংগত সমাধান হয়।