সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
মোঃ সাগর,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: রমজানের অফুরন্ত কল্যাণের অন্যতম দিক হলো এ মাসে রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। রমজান শুধু ইবাদতের বিশেষ মওসুম নয়, দোয়ারও অতুলনীয় উপলক্ষ। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারায় পরপর কয়েকটি আয়াতে রমজান ও রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।
এর অব্যবহিত পরই আল্লাহ তাঁর (নবী মোহাম্মদ রাসূল ) (সা:)উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, (তাদের বলো,) আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি, যখন তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে। (সুরা বাকারা : ১৮৬)
কোরআনের তাফসিরকারকদের মতে, রোজার আলোচনার ধারাবাহিকতায় দোয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপনের মাধ্যমে রোজাদারের দোয়া বিশেষ কবুলযোগ্য বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই রোজাদারের করণীয় আমলগুলোর মধ্যে দোয়াও অতি গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) এ কথা হাদিসে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না : রোজাদারের দোয়া, যতক্ষণ না সে ইফতার করে; ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া এবং মজলুম ব্যক্তির দোয়া।’ (তিরমিজি)
আমরা হাদিসে কুদসি থেকে জেনেছি, রোজা কেবল আল্লাহর জন্য তাই রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজেই দেবেন। রোজাদারের জন্য কিয়ামতে ও জান্নাতে অকল্পনীয় পুরস্কার ছাড়াও দুনিয়ায় উত্তম পুরস্কার হলো তার দোয়া বিশেষভাবে কবুল করা হয়।
বিশেষত রমজানের প্রত্যেক রাতে এবং ইফতারের পূর্বমুহূর্তে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইফতারের সময় আল্লাহ বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর রমজানের প্রতি রাতেও। সিয়াম পালনকারী প্রত্যেক বান্দার দোয়া কবুল হয়’ (মুসনাদ আহমদ)। আরেক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়