শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

পুলিশ ভ্যানের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ সমন্বয়ে রেকার ড্রাইভারের উন্মুক্ত বাণিজ্য

বিপ্লব হোসেন (ফারুক): গাজীপুর, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে পুলিশ ভ্যানের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ঠ-১৪-২৯-৭০ পুলিশ ভ্যানটি লঘু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় , আর এতেই পুলিশের পোয়াবারো,ঢাকা, মধুপুর শৈলকুড়ি ১১, ৪৩, ৪৯ যে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নিঃশব্দে দাঁড়িয়েছিল মহাসড়কের উপর সেই বাসটি কে রেখারের মাধ্যমে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে, বাসটির সঙ্গে শিকল দিয়ে রেকার সংযোগের সময় রেকার ড্রাইভার সাইফুলের রুদ্র মূর্তি দেখলে যে কেউ ঘাবড়ে যেত কারণ তখন তাহার চোখে অশুর দমনে প্রতিজ্ঞার আগুন, যখন ট্রাফিক সুপারের কার্যালয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় দীর্ঘ দেন-দরবারে গোপন সমবুজতায় ট্রাফিক আইনের ১৩৮ ধারা বিধান মতে দ্রুতগতির গাড়িটি ১৪২ ধারার শাস্তির বিধান নিশ্চিত না করে কেবল পুলিশ ভ্যানের লোকিং গ্লাস ভাঙ্গার অপরাধে জরিমানা করে অসুরের চিতায় আগুন না দিয়ে গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন ড্রাইভারের লম্পো জম্প থেমে যাত্রা শিল্পীর মতো নিত্য দিয়ে আনন্দে ভাসালেন অবস্থানরত সকলকে। মীমাংসা পত্রই যেন রেকার ড্রাইভার সাইফুলের যাত্রার মঞ্চ। দুর্ঘটনায় জড়িত জব্দ কভার ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের ড্রাইভারদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌঁছানোর আগে ড্রাইভারদের সঙ্গে কপুত কুপতির মতো সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেকের নজর কেড়েছে। এমনই সূত্রের দিশা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্তাদের নিকট ১৪২ ধারার বিধি অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এর কোন উত্তর না দিয়ে গৃহকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে ভিক্ষুকের ন্যায় আচরণ দেখিয়ে নিজ কক্ষে প্রবেশ করে দরজা আটকে দেন । সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইনে দ্রুতগতি গাড়ি চালানোর অপরাধে এক মাসের কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা জরিমানর বিধান থাকলেও তার বাস্তবায়ন না ঘটিয়ে নাটকের যবনিকা টানলেন পুলিশ কর্মকর্তাগণ। রেকার ড্রাইভার সাইফুলের অপকর্মের কোন শেষ নেই যদিও পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল সর্বকর্তা হিসেবে দাবিয়ে বেড়ান কোনাবাড়ী থেকে মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা, যেখানে মহাসড়ক ঘিরে ফুটপাতের রাস্তা দখলে নিয়ে রেখেছে অটো রিক্সার স্ট্যান্ড, ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী, চায়ের দোকান, আরও রং-বেরঙের বাহারি দোকান গুলো যেখান থেকে রেকার ড্রাইভার সাইফুল চাঁদাবাজদের সঙ্গে গোপন সখ্যতা করে পুলিশ কার্যালয়ের নামে প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদা আয় করে নিচ্ছে রেকার ড্রাইভার কনস্টেবল সাইফুল, আর এতে যুগ সাজস রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার। যে কারণে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে নিত্যদিনে ঘটছে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা এমন নৈশংশতার শিকার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারালেও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব যেন দুর্ঘটনায় জড়িত ড্রাইভারদের সঙ্গে নীরবতার শীতল মেঘের বর্ষণ। সন্ধিহান সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এভাবে নিত্য দিনের সড়ক দুর্ঘটনা গুলোর দায় এড়িয়ে চলে অশুর ড্রাইভার আর দুর্ঘটনার শিকার মানুষ গুলো ঘটনার আড়ালে বর্ণনা না জানলেও পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কেবল ফরিয়াদ করে সৃষ্টিকর্তার দরবারে।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com