সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ :
আনিস হত্যাকান্ডের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ মরহুমার মাগফেরাত কামনায় বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদের দোয়া মাহফিল সম্পন্ন বন্দরে ব্রাহ্মণপুত্র নদে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু নবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী রূপগঞ্জে এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দিনাজপুরে অসামাজিক কার্যকলাপে থাকাবস্থায় ৪ নারীসহ আটক ১০ পীরগঞ্জে মাদকাসক্তের কুঠারের কোপে শিশুর মৃত্যু গ্রেফতার ৬ এনসিটিবি থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবি রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মেট্রোরেলে সেবা বিঘ্নিত হলে টেলিভিশন স্ক্রলে জানানোর নির্দেশনা

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিল

অগ্নিশিখা প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগে এ রায় দেন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। প্রধান বিচারপতিসহ বেঞ্চের চার বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় দিয়েছেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়। পরে গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।

তখন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে গেলাম। হাইকোর্ট বাতিল আবেদন খারিজ করে দিলেন। পরে আপিল বিভাগে গেলাম। আপিল বিভাগ বললেন, এ মামলা চলে না। কারণ মামলাটি প্রত্যাহার (১১ আগস্ট দুদক মামলা প্রত্যাহারে আবেদন দেন) করা হয়েছে। আমরা বললাম, না, মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কারণ এটি অবৈধ। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসেন। ১১ আগস্ট কোনো নোটিশ ছাড়া বিনা কারণে মামলা বাদ দিলেন।

তিনি বলেন, এটি বাদ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা তা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হলাম। পরে আবেদনের শুনানিতে বললাম, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। শ্রমিকের টাকা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বিতরণ হয়েছে। এটি তো কোম্পানির টাকা নয়। এখানে তাকে মিথ্যাভাবে হয়রানির জন্য, অপমান করার জন্য মামলাটা করা হয়েছে।

‘আর অধ্যাপক ইউনূসও বলেছেন- প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরপরই মামলাটা প্রত্যাহার হয়ে গেল! আমার আইনজীবীও জানে না, প্রতিষ্ঠানও জানে না। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে সাজা মেনে নেব। আইনের মাধ্যমে সমাধান করব’- উল্লেখ করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com