রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ :
নিপীড়িত বিশ্ব মুসলিমের পক্ষে সংহতি: প্রেসক্লাব এলাকায় প্রায় অর্ধলাখ মানুষের জমায়েত ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ আড়াইহাজারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২৬ বছর পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার পলাশবাড়ীতে জামায়াত নেতা সাংবাদিক বাবু আবারও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজও তীব্র গরমে পুড়বে ঢাকা, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই চন্দ্রা তিতাস গ্যাসের অবৈধ চুলা ও সংযোগের ছড়াছড়ি পকেটবারি কর্মচারীদের ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে, এই জবাব কম হবে না: পাকিস্তানের ঘোষণা গোদাগাড়ীতে (২.১৭একর) সরকারি খাস পুকুর অবৈধ দখলের অভিযোগ ভবন দখলের প্রতিবাদে ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

চন্দ্রা তিতাস গ্যাসের অবৈধ চুলা ও সংযোগের ছড়াছড়ি পকেটবারি কর্মচারীদের

বিপ্লব হোসেন ফারুক: গাজীপুরে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস ডিস্টিভিশন কোম্পানির আওতায় অবৈধ সংযোগের ছড়াছরি ডিমান্ড নোট ভুক্ত বৈধদের অতিরিক্ত চুলার জ্বালানিতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হলেও পকেট বাড়ি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কাশিমপুর থানা এলাকায় ৩ নং ওয়ার্ড সবুজ কানন, এরই মাঝে ৪নং ওয়ার্ড সারদাগঞ্জ রশিদ মাতাব্বরের বাড়ির সামনে একটি সংযোগের লিকেজ লাইন থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও এর প্রকৃত কারণ ক্ষতিয়ে না দেখে গত ২৪ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার সার্ভিস টিমের সদস্য শাকিল, ও ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বে সংযোগটি পুনরায় চালু করা হয়, স্থানীয়দের তথ্য মতে এখানে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে প্রায় আড়াই থেকে ৩০০ বাড়ির গ্যাস সংযোগ রয়েছে তবে অধিকাংশ বাড়ি অবৈধ সংযোগ আর বাকিগুলোর অবস্থা এরকম যে একটি বাড়ির জন্য দুটি চুলার অনুমোদন থাকলেও সেই বাড়িগুলোতে ১০-১৫ টি চুলা জ্বালিয়ে চলছে বাড়ির মালিকগণ, ৬ নং ওয়ার্ডে কাশিমপুর পশ্চিম পাড়া আলম,আলাউদ্দিন, নামের ব্যক্তিদ্বয় যাহারা নিজেদের বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দিয়েই শুধু ক্ষান্ত থাকেনি আশপাশের প্রত্যেকটি বাড়িতে সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষাধীক টাকা, আর এই সমস্ত দালাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কথা বললে তারা এলাকায় সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে কারণে সাধারণ মানুষ জোরালো প্রতিবাদ কিংবা মুখ খুলতে অনাগ্রহী। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলো-আঁধারের খেলায় মত্ত হয়ে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সার্ভিস টিমের কিছু অসাধু সদস্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিয়ে নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে এই অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন বলিয়া ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানাযায়। এলাকা ভিত্তিক স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে অবৈধ সংযোগ স্থাপন কালে বিভিন্ন সময় সচেতন মহল মোবাইলে চন্দ্রা ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কে অবগত করলেও অজ্ঞাত কারণে তাহারা অবৈধ সংযোগের মাস্টারমাইন্ড দালালের বিরুদ্ধে সব সময় নীরব ভূমিকায় থাকেন, এই কারণে চলতি মাসের ৮ তারিখে ৩ নং ওয়ার্ড সবুজ কানন এলাকায় সিদ্দিকীর বাড়ি হইতে ফেরদৌস নেতৃত্বে বকেয়া বিলের টাকা আদায় করতে গিয়ে অবৈধ চুলা ব্যবহার দৃষ্টিতে এলে এর দায়ে মোটামুটি হুমকি দিয়ে ১ লক্ষ টাকা আদায় করে অবৈধতার দায় এড়াতে সহযোগী হয় ফেরদৌস মিয়া। কালেভাদ্রে বিভিন্ন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরগন অবৈধ গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সাথে গোপন চুক্তি করে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে দিচ্ছে, যা কর্মচারীদের নিত্য নৈমিত্তিক কর্মকান্ড, বর্তমানে ঘোলাটে অবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কিছু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরদের সাথে ঠিকাদারের নাম জোরালো ভাবে উত্তাপিত হচ্ছে।ইতিমধ্যে কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া অবৈধ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিতাস কর্তৃপক্ষের সহ টেকনিশিয়ান ফেরদৌসের সঙ্গে পূর্বের সমবুঝতার সূত্র ধরে স্থানীয় টেকনিশিয়ান দ্বারায় সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে এই সমস্ত সংযোগ গুলো স্থাপন করা হয় কিংবা হচ্ছে ।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবৈধ সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাহারা তথ্য গোপন রাখার শর্তে সহ টেকনিশিয়ান ফেরদৌস ও ব্যবস্থাপক সাইজুলের নাম বলেন এ ব্যাপারে গোপনে আরো খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় এই অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে শুধু সহ ব্যবস্থাপক সাইজুল ফেরদৌসই নয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের গভীরে রয়েছে বিশাল শিকর , এই শিখর উৎপাঠন না হওয়া পর্যন্ত তিতাস গ্যাসের অপচয় রোধ করা কোন ভাবে সম্ভব নয়। অবৈধতায় যাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের মাঝে অন্যতম আমজাদ হোসেন ব্যবস্থাপক রাজস্ব বর্তমানে চন্দ্রা তিতাস অফিসে কর্মরত যিনি দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে গাজীপুরে ইন্ডাস্ট্রি ও আবাসিকে বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন, মোঃ সাইজুল ইসলাম সহ ব্যবস্থাপক রাজস্ব সাইজুল ইসলাম উনি চন্দ্রা অফিসে প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রিদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের নামে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে মাশওয়ারা হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন এবং আবাসিক বৈধ বকেয়া ও অবৈধ সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক ধরনের ঠিকাদার চক্রের মাধ্যমে এদের মধ্যে অন্যতম হলো মোঃ আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ বিল্লাল, বড় রিপন কাশিমপুরে ফারুক, কোনাবাড়ী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমবাগে মজিবুল হক সহ পুরা চন্দ্রা অফিস সাইজুল গং তথা রাজস্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণে, ইন্ডাস্ট্রি ও আবাসিকে বকেয়া আদায়ের নামে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিমাসে অর্ধ কোটি টাকার উপরে মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন, দূরদর্শী মোঃ এহসানুল হক সহ ব্যবস্থাপক যিনি সাভার- জোনাল অফিসে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন অবনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলিয়া বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় বর্তমানে উল্লেখিত অফিসে যোগদানের পর থেকে সহ ব্যবস্থাপক সাইজুল মিয়ার মুরিদানা লাভ করেছেন এখানেও তিনি ভাগ বাটোয়ারা নিতে ভুল করেন না। টিমে জড়িতদের মোঃ ফেরদৌস টেকনিশিয়ান ইমারজেন্সি ভালুকা টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে বিতরণ গ্যাস লাইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে জোনাল কমিটি শ্রমিকলীগের সভাপতি হিসেবেও অনেক দাপটে সাথে দাবরিয়ে বেড়িয়েছেন। চন্দ্রা অফিসে প্রায় বছর খানিক থাকার পর অবৈধ কর্মকান্ডের জেরে তাকে ঢাকায় ইমারজেন্সি শাখায় বদলি করা হয়। পরবর্তীতে টেকনিশিয়ান ফেরদৌস মানব সম্পদ বিভাগের জিএম মাসুম মিয়ার সঙ্গে গোপন সখ্যতা গড়ে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে পাঁচ মাসের মাথায় অলৌকিক ক্ষমতায় আবার চন্দ্রা অফিসে টাকার নেশায় মাতোয়ারা হয়ে ফিরে আসেন। মোঃ আতাউর রহমান রেকর্ড কিপার লোক চক্ষে যতটা সাদামাটা তিনি কিন্তু খুবই ঠান্ডা মাথার, আওয়ামী লীগের ১৪-১৫ বছর উনি এই সাইজুল গঙ্গের সাথে ঠান্ডা মাথায় দাবরিয়ে বেড়িয়েছেন। উনার পদবী যদিও রেকর্ড কিপার তাতে কি উনি ক্ষমতার বলে টিমের গাড়ির সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকেন । এমন অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন দেশ প্রেমিক নাগরিক সমাজ।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com